¤আলো কি ?
খুব সহজ উত্তর: এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ ।¤আলোর একক কণিকা কি?
এটার উত্তরও সহজ: ফোটন ।¤তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ কি?
শূন্যস্থান দিয়ে আলোর সমগতিশীল তড়িৎ ও চৌম্বক আলোড়ন, যাতে তড়িৎ ও চৌম্বকক্ষেত্র পরস্পর লম্ব এবং এরা উভয়ে তরঙ্গ সঞ্চালনের সাথে লম্বভাবে থাকে তাকে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ বলে ।আলোক কণিকা ফোটন চার্জ নিরপেক্ষ । চার্জ নিরপেক্ষ কণিকার কিভাবে তড়িৎ ও চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব ?.?.?
আসলে এভাবে ভাবা মানে হল আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব আর কণাতত্ত্বকে একসঙ্গে করে ফেলা ।যেখানে এরা আপাতদৃষ্টিতে পরস্বপর বিপরীত মেরুতে অবস্থিত ।
ভাবতে হবে একটু আগে পরে করে। আগে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ আবিষ্কার হয় ম্যাক্স ওয়েলের হাত ধরে ১৮৮৫ সালে ।তার প্রস্তাবণা ছিল তড়িতক্ষেত্র আর চৌম্বকক্ষেত্র পরস্পর সমকোণে ক্রিয়া করলে তরঙ্গের আবির্ভাব ঘটে।
এর বেগ আলোর বেগের সমান । অতএব আলো ও এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ ।এ পর্যায়ে এসে দুটো প্রশ্ন জুড়ে দেয়া যায়, তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের ঐ তড়িৎ ও চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয় কিভাবে?
কোন কণা এ তড়িৎ ও চৌম্বকক্ষেত্রেরসঙ্গে না থাকলে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গগুলো হাজার হাজার মাইলপথ পাড়ি দেয় কি করে?তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ গুলোর উৎপত্তিস্থল কিন্তু কোন না কোন চার্জড পার্টিকেলই ।
যেমন ধরুন পরমাণুর ইলেকট্রন শক্তিস্তর স্থানান্তরের মাধ্যামে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ বিকিরণ করে। মূলত ইলেকট্রন তার ঘূর্ণনের ফলে যে চৌম্বকক্ষেত্র ও তড়িতক্ষেত্র উৎপন্ন করে সেটাই তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গাকারে স্থানান্তরিত করে যেটা চৌম্বকে ডাইপোলের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে স্থানান্তরের মতই।এমনকি ম্যাক্সওয়েলের ঐ প্রস্তাবণার মাধ্যমে দেখা যায় একটা বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎ প্রবাহের পথের সাথে চৌম্বক ক্ষেত্র বিজড়িত থাকা
অর্থাৎ ইলেকট্রনের কাছাকাছি থাকা ছাড়াই তড়িত আর চৌম্বক ক্ষেত্র তাড়িতচৌম্বক আকারে প্রকৃতিতে থাকতে পারে ।তারপরেই ১৯০০ সালে ম্যাক্সপ্লাঙ্ক কৃষ্ণ বস্তুর মাধ্যমে বলেন কোন উৎস থেকে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ প্যাকেট প্যাকেট বা গুচ্ছ আকারে নির্গত হয় যার শক্তি হল এর কম্পাঙ্কের সমাণুপাতিক,অর্থাৎ সমীকরণ দিয়ে বললে E=hf ।
আইনস্টাইন যার নাম দেন ফোটন । আসলে ফোটন হল সেই তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের প্যাকেট ।ছবিটি দেখুন
তাই বলে ফোটনকে নিছক তরঙ্গ ভাবলে ভুল হবে । কারণ এই কোয়ান্টা বা প্যাকেট অর্থাৎ ফোটনের বৈশিষ্ট কণা ধর্মী ।
যেমন: কোন জায়গায় আলোর তীব্রতা বেশি মানে হল ফোটনের আধিক্য। আবার স্থানভেদে এই প্যাকেটই তরঙ্গধর্মী ।উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল ব্যাতিচার ।
ইয়ং এর দ্বি চিড় পরীক্ষায় একটি তরঙ্গ বিভক্ত হয়ে দুটি তরঙ্গ সৃষ্টি হওয়ার পর যাদের তাদের উপরিপাতনের ফলে ব্যাতিচার সৃষ্টি হয় ।কণার বিভক্ত হয়ে যাওয়াটা অসম্ভব বলে এখানে ফোটন তরঙ্গরুপে আচরণ করে ।
সাথে থাকবেন ....
No comments:
Post a Comment