Monday, October 13, 2014

ভালোবাসার Story (6)

একটা লাশ ড্রেনের কর্নারে পড়ে আছে। আশে পাশে অনেকমানুষের ভীড়। পাশের থেকে কেউ একজন বলছে,শালার পাগল টা শেষ পর্যন্ত মইরাইগেল।মনে হয় গাঁজা একটু বেশিই খাইয়া ফেলছিল। আরেকজন বলে উঠলো, আরে ভাই পাগল টা আর মরার জায়গা খুজে পাইলো না।শালা আমাগো মহল্লায় আইসা মরলি। এগুলা যে কোন খান থাইকা আসে রে ভাই।যাক মানুষ একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারব। পাগল দুর হইলো মহল্লা থাইকা। পুলিশের গাড়ির হর্ন শোনা যাচ্ছে।দারোগা মোহাম্মদ রনি জিপ থেকে নামলেন । লাশটার কাছে কিছুক্ষন পায়চারি করলেন।লাশের পকেট থেকে একটা মানিব্যাগ বের করলেন। মানিব্যাগটা তিনি জিপে রাখলেন। পুলিশ কনস্টেবলদের লাশটা পোস্টমর্ডাম করে দাফন করতে বললেন। উনি জিপে করে বাসায় চলে আসলেন। রনি সাহেবের স্ত্রী তখন ওঘুমিয়ে। রনি সাহেব এবার কবিতা বলে ডাক দিলেন। কোন সাড়া শব্দ নেই।তিনি তার স্ত্রীর কপালে একটা চুমু খেলেন। তারপর তিনি বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়লেন। ২দিন পররনি সাহেব তার জিপে করে বাড়ি আসতেছিলেন।হঠাত্ চোঁখ পড়লোসেই মানিব্যাগ টার দিকে।তিনি ওটা পকেটে করে বাসায় ঢুকলেন। মানিব্যাগটা রেখে দিলেন টেবিলের উপর।কবিতাকে বললেন,একটু চা করতে।তোমার হাতের চা না খেলে আমার দিনটাই ভাল যায় না।কবিতা বলে উঠলো থাক আর বলতে হবে না।আমি এক্ষুনি যাচ্ছি। কিছুক্ষন পর রনি সাহেব মানিব্যাগটা খুললেন।মানিব্যাগে একটা চিঠি আর একটা আংটি দেখতে পেলেন। আংটি টা পাশে রেখে চিঠিটা পড়া শুরু করলেন। প্রিয় কবিতা, চাইলেই তোমাকে ভুলে থাকতে পারিনি। তোমাকে অনেক খুজেছি।কিন্তু কোথাও পাইনি। শুনেছি তোমার বিয়ে হয়ে গেছে। তারপরও তোমাকে খুজি কারন শাড়িতে তোমাকে কেমন লাগে তাই দেখব।বিশ্বাস করো এখন তোমাকে নতুন করে পাবার ইচ্ছা নেই।তোমার ভালবাসার ভাগও আর নিব না।জানো ওরা না আমাকে পাগল বলে আমাকে খুব মারধর করে।আমাকে না এখন আর কেউ ঠিক মত খেতে দেয় না।ক্ষুধার যন্ত্রনায় আমি না মাঝে মাঝে ডাস্টবিন এর খাবার গুলো কুড়িয়ে খাই। আমাকে দেখলে না লোকে হাসাহাসি করে।আমার কিন্তু এতে একটুও দুঃখ লাগে না।মনে হচ্ছে আমি আর বাচব না।তাই চিঠিটা লিখতেছি।আমার ছেড়া চিঠিটা যদি তোমার কাছে পৌছায়, তাহলে একমুঠো মাটি দিও আমার কবরে।যাতে তোমার হাতের স্পর্শ নিয়ে শুয়ে থাকতে পারি। ইতি পথহারা একপাগল। রনি সাহেবের চোঁখ চিকচিক করছে।মনে পড়ল আজ থেকে তিন বছর আগেরকথা।অতি কৌশলে রাব্বীর কাছ থেকে আলাদা করেছিল কবিতাকে।কবিতাকেপাওয়ার জন্যরনি সাহেব রাব্বীকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকেরেখে কবিতাকে বলেছিল সাগড়ে ডুবে মারা গেছে।তারপর কবিতা বিয়ে করে অনেকদূরে চলে আসে।আজ বুঝতে পারছে কি ভুলইনা সে করেছে। হঠাত্ কবিতার আগমন।চোঁখে ভেসে আসে সেই আংটিটা।যেটা রাব্বীকে গিফট করেছিল কবিতা।চিত্কার দিয়ে উঠে কবিতা,আমার রাব্বী কই।বলোনা আমার রাব্বী কই।আমাকে ওরকাছে নিয়ে চলো। রনি সাহেব তার জিপে করে নিয়ে যাচ্ছে কবিতাকে।একটা গোরস্থানে তার জিপটা এসে থামে। কবিতার চোঁখে হঠাত্ ভেসে আসে একটা নতুন কবর।তাতে লেখা মরহুম মো রাব্বী হাসান

No comments:

Post a Comment