Friday, October 10, 2014

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আধুনিকীকরণ

প্রাণিকোষের অভ্যন্তরে অতি ক্ষুদ্র স্তরের কার্যক্রম, প্রজনন এবং বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হওয়ার ধরন সম্পর্কে জানতে আণুবীক্ষণিক গবেষণা প্রয়োজন। তবে এ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রের (মাইক্রোস্কোপ) অপবর্তন সমস্যার কারণে সেই অতি ক্ষুদ্র কোষের ভেতরের অবস্থা স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব ছিল না। মার্কিন দুই বিজ্ঞানী এরিক বেটজিগ ও উইলিয়াম মোয়ের্নার এবং জার্মানির স্টিফান হেল সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতে উদ্যোগী হন। তাঁরা অতি শক্তিশালী অণুবীক্ষণযন্ত্র (মাইক্রোস্কোপ) তৈরির কাজে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। আণবিক স্তরের টিস্যু নিয়ে গবেষণা এবং বিভিন্ন রোগ ও ওষুধের নকশা তৈরির কাজে এই অণুবীক্ষণযন্ত্র সহায়ক হবে বলে মনে করছে নোবেল কমিটি। ১৮৭৩ সালে জার্মান বিজ্ঞানী আর্নস্ট অ্যাবের তৈরি প্রচলিত অণুবীক্ষণযন্ত্র আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অর্ধেকের বেশি রেজুলেশনের ছবি দেখাতে পারে না। কিন্তু এবারের নোবেল বিজয়ীরা সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতে স্টিফান হেলের নেতৃত্বে ১৯৯০-এর দশকে কাজ শুরু করেন। তাঁরা এ জন্য ব্যবহার করেন ফ্লুরেসেন্স। সুইডেনের নোবেল কমিটি বলেছে, ওই তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী কাজের ফলে অণুবীক্ষণযন্ত্রের ব্যবহার একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। এতে আণবিক স্তরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে। ন্যানো মাত্রার আধুনিক অণুবীক্ষণযন্ত্রগুলো স্মৃতিভ্রংশ (আলঝেইমার) ও পার্কিনসনসের মতো মস্তিষ্কের জটিল রোগ সম্পর্কে অধিকতর বিশদ তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি একক প্রোটিনকে অনুসরণ করতে পারে অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণুর বিকাশ পর্যবেক্ষণ করতে পারে, যখন তারা বিভক্ত হয়ে ভ্রূণে পরিণত হয়। কোষের কার্যক্রম এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রভাব জানতে এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এবারের নোবেলজয়ী স্টিফান হেল। তিনি জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর বায়োফিজিক্যাল কেমিস্ট্রির পরিচালক। আর বেটজিগ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাশবার্নের হাওয়ার্ড হাগস মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং মোয়ের্নার যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসি

No comments:

Post a Comment